আমতলীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ।
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৩ জুন, ২০২৪, 5:25 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৩ জুন, ২০২৪, 5:25 PM
আমতলীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ।
দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে পাঁচ বখাটে অপহরণ করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বখাটে মিরাজ ফরাজী (১৯), ইমরান (২৫) ও মোঃ হেলালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে অপহরণ মামলা হয়েছে। আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পুজাখোলা গ্রামে মঙ্গলবার রাতে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পুজাখোলা গ্রামের দশম শ্রেনীতে মাদ্রাসায় পড়–য়া এক ছাত্রীতে বখাটে মিরাজ ফরাজী দীর্ঘদিন ধরে উত্যাক্ত করে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাহিরে বের হয়। এ সময় ওত পেতে থাকা বখাটে মিরাজ ফরাজী তার সহযোগী ইমরান ও হেলালসহ পাঁচজন ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গত তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার অপহৃতার বাবা বাদী হয়ে মিরাজ ফরাজীকে প্রধান আসামী করে পাঁচজনের নামে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ রফিকুল ইসলাম মামলাটি গ্রহন করে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী বলেন, আমার মেয়েকে বখাটে মিরাজ ফরাজী বেশ কয়েকদিন ধরে উত্যাক্ত করে আসছে। আমার মেয়ে বখাটে মিরাজ ফরাজীর প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় অপহরণ করে নিয়েছে। আমি আমার মেয়েকে উদ্ধারসহ অপরাধীদের শাস্তি দাবী করছি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওয়াসী মতিন বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) আমির সেরনিয়াবাদ বলেন, আদালতের নথিপত্র পাইনি। নথিপত্র পেলে আদেশ মতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।