ঢাকা ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
রাশিয়ার বহুতল ভবনে ৯/১১-র ধাঁচে ড্রোন হামলা! গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ নির্বাহী অফিসারের বদলী প্রত্যাহার দাবীতে মানববন্ধন বৈষম্যহীন নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন শাহরুখ খানকে নিয়ে ‘অস্বস্তিতে’ পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা আত্মহত্যায় প্ররোচনা: জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের কিভাবে রাশমিকা মান্দানা সৌন্দর্য্য ধরে রেখেছেন তালতলীতে গনঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা বরগুনায় কৃষক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

ঘূর্ণিঝড় রিমাল, আমতলীতে ৩ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত, পানিবন্দী অর্ধলক্ষ মানুষ

#

উপজেলা সংবাদদাতা

২৭ মে, ২০২৪,  8:12 PM

news image

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বরগুনার আমতলী উপজেলায় তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত এবং অন্তত দুই লক্ষাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চারটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবয়ন কর্মকর্তার অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল গত রোববার সন্ধ্যা নাগাল উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হনে। আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত চলে তাণ্ডব। দমকা বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে মাটি আগলা হয়ে তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত এবং সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পরেছে অন্তত দুই লক্ষাধিক গাছপালা।

পশুরবুনিয়া, ঘোপখালী, পশ্চিম সোনাখালী, সোনাউডা বাঁধ এবং আঙ্গুলকাটা স্লুইজ গেট ভেঙে ও ইসলামপুর গ্রামের বাঁধ গড়িয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে আড়পাঙ্গাশিয়া, আঠারোগাছিয়া, হলদিয়া, আমতলী সদর ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে।

ওই পাঁচ ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। ভারী বর্ষণে কুকুয়া ও চাওড়া পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ ভোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলছে। এছাড়া পানিতে উপজেলার সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। সব মিলেয়ে উপজেলার অন্তত ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

অপর দিকে এ বন্যায় আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বারেক চৌকিদারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। এতে আমতলী উপজেলার সাড়ে তিন লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে দিনাতিপাত করছে।

আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবয়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালে উপজেলার তিন শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত এবং সহস্রাধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। অগণিত গাছপালা উপড়ে পরেছে। পানিতে প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।’

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘ক্ষতির তালিকা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাবার ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

logo

প্রকাশকঃ মোঃ সাদ্দাম হোসেন