জমিতে বীজ রোপনে বাঁধা, শিশুসহ তিন নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম।
নিজস্ব প্রতিনিধি
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 6:22 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 6:22 PM
জমিতে বীজ রোপনে বাঁধা, শিশুসহ তিন নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম।
বিরোধীয় জমিতে বীজ রোপনে বাঁধা দেয়ায় শিশুসহ তিন নারীকে নুরুল ইসলাম, রাজু হাওলাদার ও তার লোকজন কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শাহিনুর বেগম এমন অভিযোগ করেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে সোমবার দুপুরে।
জানাগেছে, উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মৃত্যু আব্দুল হামেদ হাওলাদারের ছেলে নুরুল হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই লিটন হাওলাদারের মধ্যে চার একর ২৬ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। বিরোধীয় জমিতে নুরুল ইসলাম হাওলাদার ও তার লোকজন সোমবার দুপুরে বীজ রোপন করতে যায়। এতে লিটন হাওলাদারের স্ত্রী শাহিনুর বেগম বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল ইসলাম হাওলাদার, রাজু হাওলাদার, রিপন হাওলাদার, সুলতান হাওলাদার ও সাগর হাওলাদারসহ ৮-১০ জনে চাচাতো ভাই লিটন হাওলাদারের ঘরে প্রবেশ করে শাহিনুর বেগম (৪৫), জান্নাতি আক্তার (২১) ও শিশু ইলহামকে (৮) কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আহতদের স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
আহত শাহিনুর বেগম বলেন, বিরোধীয় জমিতে বীজ রোপন করতে আসেন নুরুল ইসলাম হাওলাদার, রাজু হাওলাদার, রিপন হাওলাদার, সুলতান হাওলাদার ও সাগর হাওলাদারসহ ৮-১০ জনে। আমি এতে বাঁধা দেয়ায় আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে আমার মেয়ে জান্নাতি ও নাতনি ইলহামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
নুরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, জমি নিয়ে লিটন হাওলাদারের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। ওই জমিতে আমার লোকজন বীজ রোপন করতে গেলে তাদের গায়ে মরিচের গুড়া নিক্ষেপ করেছে। তিনি আরো বলেন, তাদের মারধর করা হয়নি। তারা নিজেরা কাঁদার মধ্যে গড়াগড়ি করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান খান বলেন, আহত তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা করা হবে।