দলীয় প্রতীক না দেওয়া আরেকটা ফাঁদ: মির্জা আব্বাস
নিজস্ব প্রতিনিধি
০৫ মে, ২০২৪, 4:30 AM
নিজস্ব প্রতিনিধি
০৫ মে, ২০২৪, 4:30 AM
দলীয় প্রতীক না দেওয়া আরেকটা ফাঁদ: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন,উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়া আরেকটা ফাঁদ।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রশিদ হাবিবের মুক্তির দাবিতে হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সাবেক গর্ভনর ফরাসউদ্দিন আহমেদ -এর বক্তব্য তুল ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, কী বিচিত্র বাংলাদেশ। ‘এক শ টাকার জন্য চোরের হাত বেঁধে রাখেন, এক হাজার কোটি টাকা যারা চুরি করেন, তাদেরকে স্যালুট দেন’। এই তো বাংলাদেশ।
প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ জন অভিভাবক, স্ত্রী-সন্তান আমার কাছে আসে এমনটা জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, কেউ বলে আমার বাবা জেলে, কেউ বলে আমার স্বামী জেলে, কেউ বলে আমার ছেলে জেলে, কেউ বলে আমার ভাই জেলে। কতজনের জন্য কথা বলব, আর কতজনকে শান্ত¡না দেবো।
তিনি বলেন, আমরা কতবার বলেছি- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে অথবা চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠান। ওঁর অবস্থা বেশি ভালো না। সরকার বলছে, আইন নাই। আইন থাকবে না কেন, আইন কি মানুষের জন্য, না আইনের জন্য মানুষ? এ সময় রাশেদ খান মেনন ও আ স ম আবদুর রবের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার কথা তুলে ধরেন মির্জা আব্বাস। সেই সাথে তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদেরকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। আ স ম আবদুর রবকে বন্দী অবস্থায় এবং রাশেদ খান মেননকে পাঠিয়েছিলেন আজকের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
মির্জা আব্বাস বলেন, আপনাদের (সরকার) মনে থাকে না। একটা মামলা দিবেন, জেলে পাঠাবেন। আর বলবেন, রাজনৈতিক কোনো রাজবন্দী জেলে নাই। এরা হলো মামলার আসামি। আরে কোন মালমার আসামি? রাজনৈতিক মামলার আসামি। যারা আপনাদের বিরুদ্ধে কথা বলে।
গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোনো আন্দোলন কোনো স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমার জানা নেই। একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।