ঢাকা ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
রাশিয়ার বহুতল ভবনে ৯/১১-র ধাঁচে ড্রোন হামলা! গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ নির্বাহী অফিসারের বদলী প্রত্যাহার দাবীতে মানববন্ধন বৈষম্যহীন নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন শাহরুখ খানকে নিয়ে ‘অস্বস্তিতে’ পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা আত্মহত্যায় প্ররোচনা: জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের কিভাবে রাশমিকা মান্দানা সৌন্দর্য্য ধরে রেখেছেন তালতলীতে গনঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা বরগুনায় কৃষক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

পাকিস্তানে তীব্র দাবদাহ: ৬ দিনে ৫ শতাধিক মৃত্যু

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ জুন, ২০২৪,  6:01 PM

news image

পাকিস্তানে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে গত ছয়দিনে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একদিনেই প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৫০ জন। দেশটির প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র করাচিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে অনুভূত তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।

পাকিস্তানের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সংস্থা জানায়, করাচির মর্গগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০টি লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে গত ছয় দিনে তারা প্রায় ৫৬৮টি লাশ সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে গত মঙ্গলবারই সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪১টি লাশ।

করাচির সিভিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান ডা. ইমরান সারওয়ার শেখ বিবিসিকে জানান, গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন, যাদের বেশিরভাগের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।
উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে করাচির বাসিন্দারা চরম সংগ্রাম করছে। শহরটিতে নিয়মিত লোডশেডিংয়ের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

করাচি ছাড়াও পুরো সিন্ধ প্রদেশে গত মাসে প্রায় রেকর্ড ৫২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। গত মে মাস থেকে সেখানে প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, আবার কখনও কখনও তা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনা নিয়মিত এবং তীব্র হয়ে উঠছে। করাচির এই তীব্র তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

logo

প্রকাশকঃ মোঃ সাদ্দাম হোসেন