পানির নীচে আমনের বীজতলা, চাষাবাদ বন্ধ।
নিজস্ব প্রতিনিধি
২২ আগস্ট, ২০২৪, 8:16 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
২২ আগস্ট, ২০২৪, 8:16 PM
পানির নীচে আমনের বীজতলা, চাষাবাদ বন্ধ।
পুর্ণিমার জোর প্রভাবে পায়রা নদীতে স্বাভারিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি ও অবিরাম বৃষ্টির পানিতে মাঠ-ঘাট থই থই করছে। এতে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে পঁচে গেছে। জলকপাট বন্ধ থাকায় জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। এতে মহা বিপাকে পরেছেন তারা।
জানাগেছে, আমতলীতে এ বছর আমন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। ওই জমিতে বীজ বপন করতে কৃষকরা বীজতলা তৈরি করেছে। কিন্তু পুর্ণিমার জোর ও বৃষ্টির পানিতে মাঠে পানি থই থই করছে। ফলে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে পঁচে গেছে। কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। এতে মহাবিপাকে পরেছেন তারা। কৃষকরা জানান, পানিতে মাঠ ঘাট থই থই করছে। অধিকাংশ বীজতলা পানির নিতে রয়েছে। পানির জন্য চাষাবাদ করতে পারছি না। এদিকে জলকপাটগুলো বন্ধ থাকায় জলাবন্ধতা দেয়া দিয়েছে। দ্রæত জলকপাটগুলো খুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুড়ে দেখাগেছে, মাঠ-ঘাটে শুধুই পানি। কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ। বীজতলা পানির নীচে।
কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, পানিতে মাঠ ভরে গেছে। চাষাবাদ করতে পারছি না। এ বছর কি হবে জানিনা?
চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের কৃষক নাশির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, শুরু পানি আর পানি। দ্রæত এ পানি নিস্কাশন না হলে জমি চাষাবাদ করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়াবে। তিনি আরো বলেন, দুই একর জমির বীজতলা করেছিলাম, তা এখন পানির নীচে। দুই এক দিনের মধ্যে পানি না সরলে ওই বীজতলা পঁচে যাবে।
একই গ্রামের জগদিশ চন্দ্র শীল বলেন, পানিতে সমুদয় বীজ পঁচে গেছে। জমিতে কি রোপন করবো তা ভেবে পাচ্ছি না।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার ঈশা বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে মাঠ ঘাট তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকদের জমি চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অনেক বীজ পঁচে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, খোজ খবর নিয়ে দ্রæত জল কপাট খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।