বরগুনায় নিখোঁজের ৩দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৪ আগস্ট, ২০২৪, 5:48 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৪ আগস্ট, ২০২৪, 5:48 PM
বরগুনায় নিখোঁজের ৩দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার
বরগুনায় নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পরে ডোবা থেকে মুখমন্ডল বাধা অবস্থায় সুজন নামের এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় জুয়েল নামের এক অটোরিকশা চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর সার্কেল আবদুল হালিম।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা এগারোটার দিকে সদর উপজেলার ৪ নম্বর কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাকিরতবক এলাকার জনৈক আবুল খানের বসতঘরের পিছনের ডোবা থেকে ভাসমান অবস্থায় সুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সুজন ওই একই এলাকার বাক প্রতিবন্ধী বাদল ফরাজীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেশায় অটোচালক সুজন প্রতিদিনের মত গত ২২ আগস্ট ফজরের আযানের পরে তার অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সুজনের কোন সন্ধান না পেয়ে ২৩ আগস্ট বরগুনা থানায় নিখোঁজের ঘটনা উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরী করে সুজনের পরিবার। পরে শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল এগারোটার দিকে জাকিরতবক এলাকার জনৈক আবুল খানের বসত ঘরের পিছনের ডোবায় বাবা বদল খান ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে প্লাস্টিকের বস্তা ও মোটা রক সুতা দিয়ে মুখমণ্ডল বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে মুখমণ্ডল থেকে বস্তা খুলে দেওয়ার পরে মরদেহটি সুজনের বলে সনাক্ত করে নিহত সুজনের পরিবার। পরে নিহত সুজনের মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জুয়েল শিকদার নামের একজন অটোরিকশা চালককে আটক করা হয়েছে।
নিহত সুজনের স্ত্রীর বলেন, গত পরশুদিন ফজরের নামাজের পরে মাছের ট্রিপ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলো সুজন। পরে মোবাইল ফোনে মুরগী নিয়ে আসার কথা বললে টাকা নেই বলে ফোনটি কেটে দেন। এরপর আর আমার সাথে যোগাযোগ হয়নি। পরে আমরা থানায় জিডি করেছি। আজকে সকলে সুজনের খোঁজ জানতে স্থানীয় গননাকারী এক ফকিরের কাছে গেলে এসময় বাড়ি থেকে ফোন দিয়ে বলে সুজনের লাশ পাওয়া গেছে। আমার স্বামীর হত্যা কান্ডের সাথে যেই জড়িত থাকুক আমি তার বিচার চাই।
বরগুনা সদর সার্কেল আবদুল হালিম বলেন, এখানে কয়েকদিন আগে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছিলো। এরপরে সুজন নামের একজন অটোরিকশা চালক নিখোঁজ হয়, পরে থানায় তারা একটি সাধারণ ডায়েরী করে। আজকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এসময় সন্দেহজনকভাবে জুয়েল শিকদার নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় তদন্ত চলমান আছে, অপরাধী যেই হোক সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।