বরগুনায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা বাবা-ছেলের লুটপাট সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ আগস্ট, ২০২৪, 6:42 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
৩০ আগস্ট, ২০২৪, 6:42 PM
বরগুনায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা বাবা-ছেলের লুটপাট সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম
বরগুনার আমতলী উপজেলায় বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে বহিষ্কৃত বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে রাহাতের বিরুদ্ধে ডাকাতি, লুটপাট, ভাঙচুর, দখল, চাঁদাবাজি ও বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধাসহ দলটির নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ২৮ আগস্ট বুধবার ব্যক্তিগত কাজে চিলা যাচ্ছিলাম। তখন চলাভাঙ্গায় চায়না কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিদ্যুতে জালাল ফকিরের নেতৃত্বে তার সহযোগী মিল্টন, মিলন, রাহাতসহ অনেকে চাঁদাবাজি করছে। এমন তথ্য পেলে আমি ওখানের স্থানীয় লোকদের কাছে জানতে পেরে চাঁদাবাজির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এক পর্যায় মিল্টন, মোকলেসসহ ৫জনকে আমতলীতে পার্টি অফিসে আসতে বলি। আমরা হাইওয়ে রাস্তায় উঠলে অতর্কিতভাবে ওরা পরিকল্পিতভাবে চাপাতি, রামদা দিয়ে হামলা করে। ঘটনা স্থলে আবুল কালাম আজাদ, মিলন আহত হয় এবং একটি মোটর সাইকেল ভেঙ্গে নিয়ে যায়। তারপর বিকাল ৪টায় আমি পার্টি অফিসে আসলে আমাদের ছুরিকাটা স্ট্যান্ডে নেমে জালাল ফকিরের নেতৃত্বে তার ছেলে রাহাত আওয়ামীলীগের কর্মী বাহিনীসহ প্রায় ২০০ লোক নিয়ে আমার বড় ভাই হালিম মৃধার উপর অতর্কিত এলোপাতারিভাবে কোপ দেয়। তার পিঠে এবং আঙ্গুলে গুরুতর জখম হয়। এই হামলাকারিরা পল্লিবিদ্যুৎ এসে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু মুছা, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান, চাওড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রবিউলসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।
তিনি আরও বলেন, ৫ই আগষ্ট থেকে এই বহিষ্কৃত নেতা জালাল ফকির বিভিন্ন জায়গায় দোকানে ভাংচুর, হামলা, দখল, চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে। এই বহিষ্কৃত জালাল ফকির অতীতে হাইজ্যাক, গরু চুরি করতো।
বিগত হাসিনা সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে। সে আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম ছরোয়ার ফোরকান দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তার নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। সে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আঁতাত করে নানান অবৈধ কর্মকান্ড ঘটায়। আওয়ামীলের সাথে হাত মিলিয়ে আমাদের এই সুশৃঙ্খল বিএনপিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আমতলী উপজেলা বিএনপি জালাল ফকির গংদের এহেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় লড়ব।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম টারজান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম খান ও যুবদলের সদস্য সাবেক কাউন্সিলর মো. শামসুল হক।
এ ব্যাপারে বিএনপি'র বহিষ্কৃত আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের সাথে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেন এটা সত্য না। ঘটনাস্থলে প্রতিপক্ষরাই হামলা করেন এবং চাঁদাবাজি সহ লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন দলটির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।