মাদক ব্যবসায়ীব মনির ফকিরের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী।
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট, ২০২৪, 6:29 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট, ২০২৪, 6:29 PM
মাদক ব্যবসায়ীব মনির ফকিরের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী।
মাদক ব্যবসায়ী মনির ফকিরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আমতলী উপজেলার পুর্ব চুনাখালী গ্রামের বাসিন্দারা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক ব্যবসা, জুয়া, ভুমি দখল, ঘরে আগুন দেয়া, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজীসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানী করার নানা অভিযোগ। ভুক্তভোগী জুয়েল মিস্ত্রী এমন অভিযোগ করেছেন। মনিরের ভয়ে দুই ছেলে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জুয়েল মিস্ত্রি।
দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পুর্ব কুকুয়া গ্রামের একাব্বর আলী ফকিরের ছেলে মনির ফকির এলাকার মাদব ব্যবসা, জুয়া, জমি দখল, ঘরে আগুন দেয়া, চাঁদাবাজী ও মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানীসহ নানা অপরাধে জড়িত। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে মনির। স্থানীয় জুয়েল মিস্ত্রির অভিযোগ তার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী ঝড়না বেগমকে মনির জোড়পুর্বক ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে মনির তাকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছে। গত সোমবার মনির তার জমি দখল করতে আসে। এতে বাধা দেয় জুয়েল মিস্ত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার রাতে জুয়েলের ঘরে আগুন দেয়। আগুনে তার ঘর পুড়ে যায়। মনিরের ভয়ে জুয়েল মিস্ত্রী তার দুই ছেলে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় ভুলু গাজীর অভিযোগ মনির ফকির তার ৭৮ শতাংশ জমি জোরপুর্বক দখল করে নিয়েছে। ইদ্রিস গাজীর অভিযোগ মনির তার কাছে ১২ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। ওই টাকা মনিরকে দেন তিনি। পরে আবারো তিনি তার কাছে চাঁদা দাবী করে। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করেছে মনির। এছাড়াও তিনি এলাকায় মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসর বসিয়ে এলাকার স্কুল ও কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের বিপদগামী করছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই তার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। তাকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। তার এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জাহাঙ্গির সরদারসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, জমি দখল, চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা, জুয়া আসন বসানো ও ধর্ষণসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত মনির ফকির। তার এমন অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই তার ওপর মেনে আসে অত্যাচার- নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা। দ্রæত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে মনির ফকির বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি তেমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত না।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।