সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে 'ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি'
অনলাইন ডেস্ক
১৬ মার্চ, ২০২৫, 10:49 PM

অনলাইন ডেস্ক
১৬ মার্চ, ২০২৫, 10:49 PM

সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে 'ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি'
রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বহুল প্রতীক্ষিত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ (ডিসিইউ)। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও প্রশাসনিক বিবেচনার পর এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো।
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ—এই সাতটি প্রতিষ্ঠান একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হতো। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি এসব কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
তবে, অধিভুক্তির পর থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ ও ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা, প্রশাসনিক জটিলতা এবং একাডেমিক কাঠামোর অসামঞ্জস্যতার কারণে শিক্ষার্থীরা বারবার আন্দোলনে নামেন। দীর্ঘ আট বছর ধরে চলা এসব সমস্যার সমাধান করতে শিক্ষার্থীরা সাত কলেজকে পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি তোলেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজকে পুনরায় আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে না।
এরপর, সরকারের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে, যার নেতৃত্ব দেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। প্রাথমিকভাবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রস্তাব করা হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করা হয়।
রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম ঘোষণা করেন, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
এই ঘোষণার পর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অনেকেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা করছেন যে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক ও একাডেমিক সমস্যার সমাধান করবে। অন্যদিকে, কিছু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো, শিক্ষার মান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।