হারভেস্টার মেশিন প্রবেশে বাঁধা পাকা আউশ ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক।
নিজস্ব প্রতিনিধি
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 4:17 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 4:17 PM
হারভেস্টার মেশিন প্রবেশে বাঁধা পাকা আউশ ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক।
হারভেস্টার মেশিন প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছেন আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্য মোঃ ফিরোজ মৃধা ও তার সহযোগীরা। এতে পাকা আউশ ধান নিয়ে বিপাকে পরেছেন কৃষকরা। ধান মাঠে পেকে ঝড়ে গেলেও মেশিনের অভাবে কৃষকরা ধান কাটতে পারছেন না। দ্রæত যুবদল সভাপতি মোঃ ফিরোজ মৃধা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামে অন্তত ৫’শতাধিক একর জমিতে কৃষকরা আউশ ধান চাষ করেছেন। ওই ধান গত ৮ দিন আগেই কাটার উপযুক্ত হয়েছে। কিন্তু আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্য মোঃ ফিরোজ মৃধা ও তার সহযোগী শাহ নেওয়াজ,মাসুদ মৃধা ও আলাউদ্দিনসহ ৮/১০ বিএনপি’র সদস্যরা ওই এলাকায় হারভেস্টার মেশিন প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছে। তাদের ভয়ে কেউ হারভেস্টার মেশিন প্রবেশ করতে সাহস পাচ্ছে না। কৃষকদের অভিযোগ ফিরোজ মৃধা ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট করে দুইটি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ওই এলাকার ধান কাটছে। ওই দুইটি মেশিন দিয়ে পর্যাপ্ত ধান কাটতে পারছে না তারা। অন্য কোন মেশিন তারা এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ধান কাটতে না পারায় মাঠেই ধান নষ্ট হচ্ছে। অপর দিকে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপনে জমি চাষাবাদ করতে পারছে না। জমির আউশ ধান কাটা ও আমন ধানের চারা রোপনে জমি চাষাবাদ নিয়ে কৃষকরা মহা বিপাকে পরেছেন।
কৃষক তুহিন হাওলাদার বলেন, দুই একর জমিতে আউশ ধান চাষ করেছি। ধান মাঠে পেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হারভেস্টার মেশিনের অভাবে কাটতে পারছি না। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ফিরোজা মৃধা ধান কাটার মেশিন এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
কৃষক মোকলেস মৃধা ও জহির মৃধা বলেন, জমির পাকা ধান জমিতেই পঁচে যাচ্ছে। মেশিন এনে ধান কাটার চেষ্টা করেও ফিরোজ মৃধা, মাসুম মৃধা, শাহ নেয়াজ ও আলাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি সদস্যদের বাঁধার কারনে কাটতে পারছি না। তারা আরো বলেন, একেতো ধান মাঠে নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে আমন ধান রোপনের জন্য জমি চাষাবাদ করতে পারছি না। দ্রæত প্রশাসনকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।
নান্না প্যাদা বলেন, আমি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতেছিলাম কিন্তু আমাকে ফিরোজ মৃধা ও তার সহযোগীরা ধান কাটতে নিষেধ করেছে। আমি তাদের নিষেধ না শুনে ধান কেটেছি। এতে আমাকে তারা মারধর করে ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
সবুজ দর্জি বলেন, ধান কাটতে হারভেস্টার মেশিন এনেছিলাম কিন্তু ফিরোজ মৃধা, মাসুম মৃধা, আলাউদ্দিন ও শাহ নেয়াজ ধান কাটতে দেয়নি।
এ বিষয়ে আঠারোগাছিয়া যুবদল সভাপতি চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্য মোঃ ফিরোজ মৃধা ধান কাটতে মেশিন প্রবেশে বাঁধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করে মুঠোফোনে (০১৭৮৯৭৫৯৬৭৭) বলেন, আমি উল্টো ধান কাটতে মেশিন আনতে সহযোগীতা করছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি কৃষকদের মাধ্যমে জেনেছি। দ্রæত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ফিরোজ মৃধাসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অফিযোগ পেয়েছি।