হয় জমি ছেড়ে দিতে হবে, নইলে প্রাণ দিতে হবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি
২০ আগস্ট, ২০২৪, 4:19 PM
নিজস্ব প্রতিনিধি
২০ আগস্ট, ২০২৪, 4:19 PM
হয় জমি ছেড়ে দিতে হবে, নইলে প্রাণ দিতে হবে।
হয় জমি ছেড়ে দিতে হবে, নইলে প্রাণ দিতে হবে আলী হোসেন হাওলাদারকে এমন হুমকি দিচ্ছেন সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের এমন অব্যাহত প্রাণ নাশের হুমকিতে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার তারিকাটা গ্রামের আলী হোসেন হাওলাদার ২০২০ সালে আব্দুস সালাম শরীফ ও নাশির উদ্দিন শরীফের কাছ থেকে এক একর ২০ শতাংশ এবং আপতন নেছার কাছ থেকে এক একর ২৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমি তিনি চাষাবাদ করে আসছেন। শুরু থেকেই আলী হোসেন হাওলাদারকে একই এলাকার আলমগীর হোসেন হাওলাদার ও হাচন হাওরাদার ও তাদের লোকজন বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছেন। নিরুপায় হয়ে আলী হোসেন হাওলাদার আমতলী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আলমগীর হোসেন হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিচারক মুহাম্মদ আশরাফুল আলম আমতলী থানাকে আইন শৃংখলা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মতে আমতলী থানার এএসআই রমিজ উদ্দিন উভয় পক্ষকে নোটিশ করেন। কিন্তু আসামী পক্ষ ওই নোটিশে থানায় উপস্থিত হয়নি। কিন্তু আলী হোসেন হাওলাদার জমি চাষাবাদ করেন। গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হলে আলমগীর হোসেন হাওলাদার, সুমন হাওলাদার, মোশারফ হাওলাদার, মামুন হাওলাদার, হাচন হাওলাদার, বাচ্চু হাওলাদার ও রুমান হাওলাদার ওই জমি তাকে চাষাবাদে বাঁধা দেয় এবং তারা জোর করে চাষাবাদ করেন। গত ১৬ আগষ্ট স্থানীয়ভাবে এ জমি নিয়ে উভয় পক্ষ সালিশ বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে আলমগীর হাওলাদার ও হাসন হাওলাদারসহ তাদের সহযোগীরা আলী হাওলাদারের কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় এমন অভিযোগ আলী হোসেন হাওলাদারের। প্রাণ ভয়ে তিনি ওইস্থান থেকে পালিয়ে আসে। গত চার দিন ধরে তিনি এলাকা ছাড়া। তাদের অব্যহত প্রাণ নাশের হুমকিতে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আলী হোসেন হাওলাদারের আরো অভিযোগ সন্ত্রাসীদের জমি ছেড়ে দিতে হবে, নইলে তাকে প্রাণ দিতে হবে। তিনি (আলী) প্রশাসনের কাছে দ্রæত তাদের শাস্তি দাবী করেছেন।
হাচন হাওলাদার প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, উল্টো তিনি আমার ৬৬ শতাংশ ভোগদখল করছেন।
আলমগীর হাওলাদার সালিশ বৈঠক বসার কথা স্বীকার করে বলেন, আলী হাওলাদারকে কোন হুমকি দেয়া হয়নি। তবে তিনি কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এগিড়ে যান?
সালিস বৈঠকের প্রধান আনোয়ার হোসেন গাজী বলেন, আলমগীর হোসেন হাওলাদার ও তার লোকজন জোর করে আলী হোসেন হাওলাদারকে ঝাপটে ধরে কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। পরে আলী হোসেন পালিয়ে যায়। বৈঠক আর হয়নি।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আইন শৃংখলা রক্ষায় নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রাণ নাশের ঘটনায় অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।