ঢাকা ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মালাইকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি পাঁচ ট্রলারসহ ২২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি বাউফলে অবৈধ ট্রলি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুশীলনে যোগ দিলেন বাটলারের বিদ্রোহী ফুটবলাররা সারাদেশে সরকারি ফার্মেসি চালু হচ্ছে: কম দামে ওষুধ পাবে সাধারণ মানুষ বঙ্গোপসাগর থেকে ২১৪ জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাংলাদেশ বিশ্বের শক্তিশালী ৫০ দেশের তালিকায় আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত তালতলীতে নয়াদিগন্ত সাংবাদিকসহ ৩ সাংবাদিকের উপর হামলা

আনার হত্যাকা: কে এই শিলাস্তি রহমান

#

জেলা সংবাদদাতা

২৩ মে, ২০২৪,  9:59 PM

news image

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে কলকাতায় হত্যার ঘটনা জানাজানির পর শিলাস্তি রহমান নামের এক তরুণীল নাম সামনে এসেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিলাস্তিকে হানি ট্র্যাপ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।

হত্যা মিশন ঘটিয়ে মূল কিলার আমানুল্লাহর সঙ্গে তিনি গত ১৫ মে দেশে ফেরেন। ওই তরুণীকে এরইমধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, এমপি আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান। তার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

কলকাতা পুলিশও ফ্ল্যাট কম্পাউন্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছে, গত ১৩ মে ওই ফ্ল্যাটে একসঙ্গে তিনজন ঢোকেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। একদিন ফ্ল্যাটে অবস্থানের পর বের হয়ে আসেন এক পুরুষ ও এক নারী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র বলছে, তাদেরও ধারণা ওই নারীই শিলাস্তি। কারণ তিনি ১৫ মে বিমানে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে দেশে ফেরেন মূল ঘাতক আমানউল্লাহ।

সূত্রটি আরও জানায়, ধারণা করা হচ্ছে এমপি আনারকে কলকাতা নিতে এ নারীকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন। কারণ সব পরিকল্পনা করে শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের সময়ে শিলাস্তি তিনতলা ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করছিলেন। তবে সামনে ছিলেন না। হত্যাকা- ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। ওই নারী শিলাস্তি কি না, তদন্ত চলছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার আক্তারুজ্জামান শাহীন। তিনি ঝিনাইদহের বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। শাহীনের ভাই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র। এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল আরেক বন্ধু ও চরমপন্থি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে।

কলকাতায় বসে হত্যার চূড়ান্ত ছক এঁকে বাংলাদেশে চলে আসেন শাহীন। পরে আমানসহ ছয়জন মিলে এমপি আজীমকে সঞ্জীবা গার্ডেন নামের একটি ফ্ল্যাটে ট্র্যাপে ফেলে ডেকে আনেন। এরপর তাকে জিম্মি করে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে ভরে ফেলা হয় অজ্ঞাত স্থানে।


logo

প্রকাশকঃ মোঃ সাদ্দাম হোসেন