ঢাকা ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মালাইকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি পাঁচ ট্রলারসহ ২২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি বাউফলে অবৈধ ট্রলি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুশীলনে যোগ দিলেন বাটলারের বিদ্রোহী ফুটবলাররা সারাদেশে সরকারি ফার্মেসি চালু হচ্ছে: কম দামে ওষুধ পাবে সাধারণ মানুষ বঙ্গোপসাগর থেকে ২১৪ জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাংলাদেশ বিশ্বের শক্তিশালী ৫০ দেশের তালিকায় আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত তালতলীতে নয়াদিগন্ত সাংবাদিকসহ ৩ সাংবাদিকের উপর হামলা

ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কলকাতা যাচ্ছেন মেয়ে ডরিন

#

অনলাইন ডেস্ক

২৯ মে, ২০২৪,  2:44 AM

news image

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সেই ফ্ল্যাটের কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন এবং সেপটিক ট্যাংক ভেঙে উদ্ধার অভিযান চালায়। এরপর  সেপটিক ট্যাংক থেকে এসব মাংস উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাংসের পরিমাণ প্রায় ৪ কেজি।

ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, উদ্ধার করা খণ্ডিত অংশগুলো সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের কি না, ডিএনএ টেস্টের পর তা জানা যাবে। ডিএনএ মেলানোর জন্য এমপি আনারের মেয়ে ডরিনকে কলকাতা আসার জন্য বলেছি।

এর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তারা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্রথমে তারা যে খালটির কথা বলেছিলেন, সেখানে বেশ কিছুদিন ধরে সার্চ করেছেন। মঙ্গলবারও সার্চ করছেন।

মরদেহের অংশবিশেষ না পাওয়া গেলেও মামলা নিষ্পত্তিতে কোনো সমস্যা হবে না। দুই বাংলার পুলিশের হাতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে। আনার হত্যার গুরুত্বপূর্ণ ঘাতক আমাদের কাছে আছে। সঙ্গে যে মেয়েটা ছিল সেও আমাদের কাছে আছে জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা প্রায় সব তথ্যের মিল পেয়েছি।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি জানায়, মরদেহের অংশগুলো কসাই জিহাদ ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিল বলে আগেই স্বীকার করেছিল।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এমপি আনারকে খুন করে তার মাংস টয়লেটে ফ্ল্যাশ করে দেয়া হয়। এরপর সেটি পাইপ দিয়ে সেপটিক ট্যাংকে গিয়ে জমা হয়।

মঙ্গলবার  আনার হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ঢাকার ডিবির টিম। এ সময় সঞ্জীভ গার্ডেন্সের সেই ফ্ল্যাটে নেওয়া হয় কলকাতায় গ্রেপ্তার কসাই জিহাদ হাওলাদারকে। অনলাইনে বসিয়ে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনকে ভিডিও কলে যুক্ত করে জিহাদের সঙ্গে সামনাসামনি জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এরপরই  সঞ্জীভ গার্ডেনের ভেতরের একটি জলাশয়, কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন ও সেফটি ট্যাংকের তল্লাাশি চালানো হয়।

মরদেহের খণ্ডিত অংশের সন্ধ্যানে নিউটাউনের হাতিশালা খালসহ কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালায় কলকাতা সিআইডি। এসময় সঙ্গে ছিলো ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম।

logo

প্রকাশকঃ মোঃ সাদ্দাম হোসেন