ঢাকা ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যুতে দিল্লিতে নতুন চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা: তৌহিদ মেয়েদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য মানসিক অসুস্থতা : স্পর্শিয়া গণভোটের চেয়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরি করা বেশি জরুরি: তারেক রহমান চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের নীতিমালায় সংশোধন আনা হবে: তথ্য উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বৃহস্পতিবার নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি: ইসি সচিব উন্মোচিত হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে পুলিশের চিঠি ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন জেনে নিন ব্ল্যাক কফি খাওয়ার কিছু উপকারিতা

রাঙামাটিতে ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

২৭ আগস্ট, ২০২৪,  7:26 PM

news image

কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর চূড়ান্ত বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলায় পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। যে কারণে গত রোববার (২৫ আগস্ট) রাত থেকে খোলা রয়েছে বাঁধের ১৬টি জলকপাট। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য মতে কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮.৯২ এমএসএল।
 
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চির পরিবর্তে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে ১ ফুট করে এবং দুপুর থেকে দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রায় ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে গিয়ে পড়ছে। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় হ্রদের পানি ছাড়ার পরও পানি বাড়ছে। তাই সকাল থেকে স্পিলওয়ের গেট ৬ ইঞ্চির পরিবর্তে ১ ফুট করে এবং দুপুরের পর থেকে দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে।  যদি পানি এভাবে বাড়ে তাহলে পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হবে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, রাঙামাটি সদর, লংগদু, বরকল, নানিয়ারচর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তাদের রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা জানান, রাঙামাটি পৌরসভা এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে ১২ মেট্রিক টন এবং উপজেলা সদরের ৬টি ইউনিয়নে ১৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলররা বিতরণ শুরু করেছেন।
 
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, পানিবন্দি মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাঁধের পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে পানি কমে আসবে।

logo

প্রকাশকঃ মোঃ সাদ্দাম হোসেন