ঢাকা ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
রাশিয়ার বহুতল ভবনে ৯/১১-র ধাঁচে ড্রোন হামলা! গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ নির্বাহী অফিসারের বদলী প্রত্যাহার দাবীতে মানববন্ধন বৈষম্যহীন নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন শাহরুখ খানকে নিয়ে ‘অস্বস্তিতে’ পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা আত্মহত্যায় প্ররোচনা: জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের কিভাবে রাশমিকা মান্দানা সৌন্দর্য্য ধরে রেখেছেন তালতলীতে গনঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা বরগুনায় কৃষক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

রাঙামাটিতে ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

২৭ আগস্ট, ২০২৪,  7:26 PM

news image

কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর চূড়ান্ত বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলায় পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। যে কারণে গত রোববার (২৫ আগস্ট) রাত থেকে খোলা রয়েছে বাঁধের ১৬টি জলকপাট। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য মতে কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮.৯২ এমএসএল।
 
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চির পরিবর্তে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে ১ ফুট করে এবং দুপুর থেকে দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রায় ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে গিয়ে পড়ছে। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় হ্রদের পানি ছাড়ার পরও পানি বাড়ছে। তাই সকাল থেকে স্পিলওয়ের গেট ৬ ইঞ্চির পরিবর্তে ১ ফুট করে এবং দুপুরের পর থেকে দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে।  যদি পানি এভাবে বাড়ে তাহলে পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হবে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, রাঙামাটি সদর, লংগদু, বরকল, নানিয়ারচর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তাদের রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা জানান, রাঙামাটি পৌরসভা এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে ১২ মেট্রিক টন এবং উপজেলা সদরের ৬টি ইউনিয়নে ১৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলররা বিতরণ শুরু করেছেন।
 
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, পানিবন্দি মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাঁধের পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে পানি কমে আসবে।

logo

প্রকাশকঃ মোঃ সাদ্দাম হোসেন