ঢাকা ২৫ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের বাঁকে বাঁকে মৃত‌্যুফাঁদ তালতলীতে সাঁতার ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা বরগুনায় ৫ লক্ষ টাকার অবৈধ সিগারেট উদ্বার, ২ জনের কারাদন্ড ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন বিদ্যা বালান পুরুষরা কেন আগে প্রেমে পড়ে? গবেষণায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিবাদ করাও ইবাদত তিন দশক পর ট্যারিফ বাড়ল চট্টগ্রাম বন্দরে, খরচ বাড়বে ব্যবসায়ীদের বন্ধ হয়ে গেল ঢাকা-বরিশালের রাষ্ট্রীয় যাত্রীবাহী বিমান আল-জাজিরার অনুসন্ধান ২০২৪ সালের বিক্ষোভে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

তিন দশক পর ট্যারিফ বাড়ল চট্টগ্রাম বন্দরে, খরচ বাড়বে ব্যবসায়ীদের

#

অনলাইন ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০২৫,  5:06 PM

news image

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের আমদানি-রপ্তানির মূল প্রবেশদ্বার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এ বন্দর ব্যবস্থাপনায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে, যার অংশ হিসেবে বন্দরের ট্যারিফ হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে যেমন বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়, তেমনি ব্যবসায়ীদের জন্য আমদানি-রপ্তানির খরচও বাড়বে—সৃস্টি হবে নতুন অর্থনৈতিক চাপ।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি-রপ্তানিতে গড়ে ৩০ শতাংশ ট্যারিফ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, “১৯৮৬ সালের পর এবারই প্রথম ট্যারিফ বাড়ানো হলো। আন্তঃমন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।”

নতুন এ সিদ্ধান্তে সরকার রাজস্ব আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে। তবে একইসঙ্গে উপদেষ্টা স্বীকার করেন, “এতে ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানিতে খরচ বাড়বে।” এর ফলে দেশের রপ্তানিমুখী খাত, বিশেষত তৈরি পোশাক শিল্প, ওষুধ ও পণ্য পরিবহন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম বন্দরের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, “সরকার চায় বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে। সে লক্ষ্যে বিদেশি অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ও নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে।”

এ নিয়ে যারা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, “বন্দরের আধুনিকায়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি, তবে এতে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হবে না।”

বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে এরইমধ্যে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা জানান, গত ৭ জুলাই সাইপ পাওয়ার টেক থেকে দায়িত্ব নিয়ে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নৌবাহিনীকে। এতে ইতিমধ্যে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ২০০ একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই উন্নয়ন ও ট্যারিফ সংস্কারের মধ্য দিয়ে সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকীকরণ ও আন্তর্জাতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে, তা স্বল্প-মেয়াদে কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করলেও দীর্ঘমেয়াদে দেশের বাণিজ্যিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।


logo

প্রকাশকঃ মোঃ সাদ্দাম হোসেন